আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘরের কাছেই এমন অনেক জিনিস থাকে যা হয়তো আমাদের বড় অনাদরের। কিন্তু বাইরে থেকে কেউ এসে তাঁর কদর করে যায়। তেমনই একটি ফল আইস অ্যাপল। গ্রামবাংলায় রাস্তার কোণে কোণে ফলে থাকা এই ফল বিদেশিদের কাছে প্রসাদতুল্য অথচ আমরা নিজেরাই তাকে অবহেলা করি। বুঝতে পারছেন না তো? আইস অ্যাপল হল আসলে তালের শাঁস।

তালের শাঁস প্রাকৃতিকভাবে শরীরকে ঠান্ডা রাখে। কচি তালের শাঁস দেখতে কিছুটা স্বচ্ছ বা অর্ধস্বচ্ছ হয়, যা বরফের টুকরোর মতো দেখতে। আবার শাঁসের ভেতরে থাকা মিষ্টি, সতেজ জলীয় অংশ তৃষ্ণা মেটায় এবং শরীরকে ঠান্ডা করে, যা বরফের শীতলতাকে মনে করিয়ে দেয়। এই কারণেই ব্রিটিশরা এই ফলের নাম দেয় আইস অ্যাপল। গ্রীষ্মকালে এই ফল খাওয়া শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী।

১.  শরীরকে ঠান্ডা ও হাইড্রেটেড রাখে: তালের শাঁসে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে (প্রায় ৯০%)। এটি গরমে ডিহাইড্রেশন বা জলশূন্যতা রোধ করে এবং শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। পাশাপশি প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট যেমন পটাশিয়াম সরবরাহ করে, যা ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যাওয়া লবণের ঘাটতি পূরণ করে।

২.  কম ক্যালোরি ও পুষ্টিগুণে ভরপুর: তালের শাঁসে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম, ফলে ওজন বাড়ার ভয় নেই। আবার এটি ভিটামিন (যেমন ভিটামিন সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স) এবং খনিজ পদার্থ (যেমন পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, জিঙ্ক) দিয়ে ঠাসা।

৩.  হজমে সহায়তা করে: তালের শাঁস হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং অ্যাসিডিটি বা পেটের সমস্যা কমাতে সহায়তা করে।

৪.  শক্তি যোগায়: তালের শাঁসে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা শরীরকে দ্রুত শক্তি যোগায় এবং ক্লান্তি ও দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করে। গরমে এটি একটি চমৎকার এনার্জি বুস্টার হিসেবে কাজ করে।

৫.  ত্বকের জন্য উপকারী: এর শীতল প্রভাব এবং পুষ্টিগুণ ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। গরমে হওয়া হিট র‍্যাশ, ঘামাচি বা ত্বকের অন্যান্য জ্বালাপোড়া কমাতে তালের শাঁস খাওয়া বা বাহ্যিকভাবে ত্বকে লাগানো যেতে পারে। এটি ত্বককে আর্দ্র রাখতেও সাহায্য করে।